ডেটলাইন বাংলা: রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশে, এমনকী দেশের বাইরেও জয়নগরের মোয়ার খ্যাতি রয়েছে। দেশে বা দেশের বাইরে মোয়ার চাহিদাও রয়েছে। প্রতি মরসুমে বিক্ষিপ্তভাবে জয়নগর থেকে মোয়া রফতানি হয়। কিন্তু নিয়মিত রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। কারণ, জয়নগরে তৈরি মোয়া বেশিদিন তাজা থাকে না। রফতানির ক্ষেত্রে ৩-৪ দিন সময় লাগলে মোয়ার স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানেই এবার তৈরি হচ্ছে মোয়া হাব। এই মোয়া হা বে মোয়া তাজা রাখার ব্যবস্থা থাকবে যাতে মোয়ার স্বাদ ২৫-২৬ দিন পর্যন্ত অপরিবর্তীত রাখা সম্ভব। এবারে শীতে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারকদের কাছে সুসংবাদ আসতে চলেছে। এই শীতেই জয়নগরের বুকে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের স্বপ্নের ‘মোয়া হাব’। এখন যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে জয়নগরে ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ। জয়নগরের প্রাণ কেন্দ্রেই পুরসভার পাশের মাঠের ধারে পাঁচিল ঘেরা জায়গায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে মোয়া হাবের দোতলা বাড়ি। এই মোয়া হাব তৈরি হলে এখানকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন। কেননা এখানকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জড়িয়ে রয়েছেন মোয়া ব্যবসায়। কেউ প্রস্তুতকারক, তো কেউ ব্যবসায়ী। আবার কেউ শিউলি। কয়েক বছর আগেই জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এখানকার মোয়ার সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে। আর তাই জানুয়ারি মাসে জয়নগরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে এসে এখানকার মোয়ার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকদিন আগে বারুইপুরে সভায় এসেও জয়নগরের মোয়ার উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি মোয়া ব্যবসায়ী, মোয়া প্রস্তুতকারক ও শিউলিদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ‘মোয়া হাব’ তৈরি করার কথাও বলেন। ইতিমধ্যেই ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্যের খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। মোট ৮ কোটি টাকা প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে জানান মোয়া হাব তৈরির দায়িত্বে থাকা খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ডের এক আধিকারিক। মোয়া হাবের দোতলা বাড়িতে থাকছে মোয়াকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র। পাশাপাশি মোয়া নিয়ে গবেষণা ও প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা।